দশম শ্রেণীর বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 1





📌তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন - তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ ?


উত্তর 

তপনের সারা দুপুর বসে লেখা গল্পটা তার ছোট মাসি একরকম জোর করে তার মেসোকে দেখায় এবং ছোট মেসো সেই লেখার প্রশংসা করেন। কিন্তু পাশাপাশি এ কথা বলেন যে গল্পটার সংশোধনের  দরকার আছে । কারণ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় সেটি ছাপানো হবে। সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সত্যিই তার লেখা প্রকাশিত হয়। ছাপার অক্ষরে নিজের নাম দেখে তপন এক অদ্ভুত আনন্দ অনুভব করে। কিন্তু লেখাটা পড়তে গিয়ে শেষ ছাপার অক্ষর লেখার সঙ্গে নিজের লেখাটার কোন মিল পাচ্ছিল না। পুরো লেখাটা আগাগোড়া তার ছোট মেসো  সংশোধন করে দিয়েছিলেন। তখন দুঃখ ও লজ্জায় তপন ভেঙে পড়ে।





📌আমাদের ইতিহাস নেই - এই উপলদ্ধির মর্মার্থ লেখো ?


উত্তর 

 ইতিহাস হলো কোনো  জাতির এবং সভ্যতার আত্মবিকাশের পথ ও পর্যায়ের কাহিনী। তাই অতীতের উপর দাঁড়িয়ে যখন বর্তমানকে তৈরি করা যায়, তখন তা যথাযথ হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে আমরা প্রকৃত ইতিহাস থেকে  বিচ্ছিন্ন হয়েছি।  শঙ্খ ঘোষ  তার 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতায় শুধু ইতিহাস না থাকার কথা নয়, বিকৃত এবং ভান্ত ইতিহাসের মধ্যে পড়ে দিকভ্রান্ত মানুষের কথাও কবি বলেছেন। পৃথিবীর ইতিহাস যারা যখন ক্ষমতায় থেকেছে ইতিহাসকে তারা তখন নিজেদের মতো করে নিজের স্বার্থে পরিচালিত করেছে। আমাদের চোখ মুখ ঢাকা, আমরা ভিখারি বারো মাস। অতীত থেকে দূরে সরে গিয়ে বর্তমান সঙ্কটে তাই পরিত্রাণের পথ খুঁজে পাওয়া ক্রমশই অসম্ভব হয়ে ওঠে। সাম্রাজ্যবাদ ধর্মান্তর মত অসুখ সমাজকে রক্তাক্ত করেছে । আমাদের পথ নেই কোন,  আমাদের ঘর গেছে উড়ে, আমাদের শিশুরা সব ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে ।  এখানে ভিখারি হয়ে বেঁচে থাকাটা মানুষের নিয়তি। কোন পথ দেখতে না পাওয়ার সময় হাতে হাত রেখে এই বেঁচে থাকাটা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার। 





📌এল মানুষ ধরার দল তাদের আগমনের আগে আফ্রিকার স্বরূপ কেমন ছিল?


✒️উত্তর 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা "আফ্রিকা" কবিতায় আফ্রিকাকে ইতিহাসের পটভূমিতে রেখে কবিতার রূপ ও রূপান্তরের ছবি কে তুলে ধরেছেন। বিশ্ব সৃষ্টির প্রথম পর্বে  স্রষ্ঠা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে নতুন সৃষ্টিকে বারবার বিধ্বস্ত করছিল সেই সময় রুদ্র - "সমুদ্রের বাহু প্রাচী ধরিত্রীর বুক থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলো তোমাকে আফ্রিকা" । সৃষ্টির সেই প্রথম লগ্ন থেকে আফ্রিকা ছিল আদি অরণ্যে পরিবৃত্ত। কবির  কথায় বিভীষিকায় যেন হয়ে উঠেছিল এই আফ্রিকার মহিমা, যা দিয়ে সে নিজের যাবতীয় সংখ্যা কে পরাজিত করতে চাইছিল। সৃষ্টির সেই প্রথম যুগে আফ্রিকা ছিল বাকি পৃথিবীর কাছে উপেক্ষার পাত্র । কালো ঘোমটার নিচে অপরিচিত ছিল তোমার মানব রূপ ।  উন্নত বিশ্বে আফ্রিকাকে প্রতিষ্ঠান করতে চাইছিল অগম্য এবং ভয়াবহতার এক অন্ধকার মহাদেশ। আফ্রিকার একমাত্র কামনা ছিল কালো ঘোমটা হিসাবে উপেক্ষার অবমাননা।



 


📌"সব মিলিয়ে লেখালিখি রীতিমতো ছোটোখাটো একটা অনুষ্ঠান" - প্রবন্ধ অনুসারে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো ?


উত্তর - এক সময়ে রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে কলম তৈরি করা হতো । কালি যাতে গড়িয়ে না পড়ে তাই মুখটা চিরে দেওয়া হতো। লেখা হতো কলার পাতায়। কালি নিজেদেরই তৈরি করতে হতো। কাঠের উনুনে রান্না করা কড়াই এর তলার কালি লাউ পাতা দিয়ে ঘষে তুলে তা পাথরের বাটিতে রেখে জলগোলা হত। তারপর খুন্তি পুড়িয়ে ছ্যাকা দিয়ে ফোটানো হত। বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত ঘরে তৈরি কালি আর কলার পাতাতে লেখকের প্রথম লেখালেখি। শহরের হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার পরে বাঁশের বা কঞ্চির কলম কে ছুটি দেওয়া হয় । 

কালি বানানো বন্ধ হয়ে যায় আসে কাচের দোয়াতের কালি ।  কালি ট্যাবলেট বা বরি দিয়ে তৈরি কালি পাওয়া যেত দোয়াতে। ফাউন্টেন পেনের জন্য ছিল বিদেশি কালি । রকমারির নিব ও হ্যান্ডেল ইত্যাদি দিয়ে মুড়ে দেওয়া হতো। এই পর্যায়ে দোয়াত কলম হয়ে গেল ঘর সাজানোর আসবাব। একসময় লেখা শুকানো হত বালিতে, পড়ে ব্লটিং পেপারে ।  এইসব অতিথি হয়ে গেল। লেখালেখি এভাবে এক অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল প্রথম যুগে । তার চেহারা ছিল এক রকম, পরবর্তীকালে সেই রূপের বদল ঘটে গেলো।






📌"সব চূর্ণ হয়ে গেল জ্বলে গেল আগুনে"- কবিতা অনুসারে পরিস্থিতির বিববরণ দাও


উত্তর - 

 বিপ্লবের পথ আসলে যুদ্ধের পথ। এ হলো স্থিতাবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সমাজ পরিবর্তনের জন্য যুদ্ধ। তাই সাম্রাজ্যবাদী হোক বা শোষক, শক্তি প্রত্যাঘাত করে। প্রবল লড়াইয়ে ভেঙে পড়ে সেই সুন্দর বাড়ি, যেখানে কবিতার বিপ্লবী মানুষ একদিন থাকতেন, সেই বারান্দা, যেখানে তিনি ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমাতেন, কিংবা গোলাপ গাছ, চিমনি, প্রাচীন জল তরঙ্গ ইত্যাদি। যুদ্ধের তাণ্ডবের অনিবার্য তা সব কিছুই ভেঙে পড়ে, চূর্ণ হয়ে বিশ্বাস ও। যুদ্ধের আগুনে ছাই হয়ে যায় সমস্ত স্নারক। বিপ্লবের যা কিছু প্রিয় এবং একান্ত , সেসব চূর্ণ হয়ে যায়, জ্বলে যায় । এই যুদ্ধ যেন মানবিক মিনিস্টার ধ্বংস নিশ্চিত করে  দিয়ে যায়। আগুনের তাণ্ডবে কাঠ-কয়লা দোমড়ানো লোহা ইত্যাদি সমস্ত কিছু পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়।





📌অনুক্ত কর্তা - বলতে কি বোঝো?


উত্তর  কর্ম ও ভাববাচ্যের কর্তা কে অনুক্ত কর্তা বলে।


📌অ- কারক পদ কয় প্রকার ও কি কি?


উত্তর  দুই প্রকার, । যথা(i)-সম্বন্ধ পদ, (ii)- সম্বোধন পদ।


📌তির্যক বিভক্তি কাকে বলে?


উত্তর -- কোন বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহার হলে তাকে তির্যক বিভক্তি বলে।






Post a Comment

Previous Post Next Post